শেখ হাসিনা একজন ক্রিকেটপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী। শত ব্যস্ততার মাঝেও দলকে উৎসাহিত করতে হাজির হন ক্রিকেট মাঠে। বিশ্বকাপে সাফল্য কামনা করে ডিনার করেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। সেখানে ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেন। সাহস জোগান। লড়াই করতে বলেন শেষ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ব্রিসবেনে। যদিও বিশ্বকাপ শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং বাংলাদেশের খেলা ১৮ ফেব্রুয়ারি। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের মূল মিশনে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করতে পারেনি কোনো ম্যাচেই। হেরেছে বড় ব্যবধানে। বিশ্বকাপের মূল মিশনে নামার আগে টাইগারদের এমন পারফরম্যান্সে ক্রিকেটপ্রেমীদের ললাটে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন আলোচনায় টিম ম্যানেজমেন্টের কলহ। কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহের সঙ্গে টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের মনোমালিন্যের কথা। অবশ্য ব্রিসবেন থেকে কোচের সঙ্গে ঝামেলার কথা অস্বীকার করেছেন খালেদ মাহমুদ। দলের যে কোনো সিদ্ধান্তে খালেদ মাহমুদ সুজন অংশ নিতে পারবেন- বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোচ হাতুরাসিংহে ভালো চোখে দেখছেন না বিষয়টিকে। কোচ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এককভাবে। যদিও এ নিয়ে টিম ম্যানেজার মাহমুদ বলেন কিছুই হয়নি, 'না আমার সঙ্গে কোচের কোনো ঝামেলা নেই। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। আর আমি দলের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।' খালেদ মাহমুদ বিসিবির পরিচালকই নন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক মাহমুদ টাইগারদের সহকারী কোচও ছিলেন। হাতুরাসিংহে গত জুনে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটি সিরিজেই কোনো না কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। শুধু সাকিব ইস্যু নয়, বিশ্বকাপের স্কোয়াড নির্বাচন নিয়েও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। কোচের চাওয়া ছিল লেগ স্পিনার জুবায়ের রহমান লিখন। অথচ প্রধান নির্বাচক তার দাবি মানেননি। এ নিয়ে প্রদান নির্বাচকের সঙ্গে হালকা বাহাসও হয়। এর ফলে বোর্ড নির্বাচকদের বিশ্বকাপে যাওয়া নিষেধ করে। অবশ্য ব্যক্তিগত খরচে যেতে পারবেন নির্বাচকরা। কোচের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত সবকিছুই পার পেয়ে যাবে, যদি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে বাংলাদেশ। অন্যথায় বিশ্বকাপ শেষেই শেষ হয়ে যেতে পারে হাতুরাসিংহের কোচিং ক্যারিয়ার।