একজন ক্রিকেটারের আজীবনের স্বপ্ন বিশ্বকাপ খেলা। সেই স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেল সোহাগ গাজীর। ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাননি সোহাগ। তাই বিশ্বকাপে খেলা স্বপ্নই হয়ে থাকল এই অফ স্পিনারের। এই না খেলতে পারার কষ্টটা এখন আরও বেশি দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হল। বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো বাকি পাঁচ দিন। তার আগেই আইসিসি থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেয়েছেন সোহাগ। কিন্তু খেলা হচ্ছে না একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক ম্যান সোহাগের। কাল আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সোহাগের বোলিং অ্যাকশন এখন সন্দেহের ঊধের্্ব। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে কোনো বাঁধা নেই। একই দিন আইসিসি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাঈদ আজমলকেও।
আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সোহাগের বোলিং অ্যাকশন রিপোর্টেড হয়েছিল। রিপোর্টেড হওয়ার পর ইংল্যান্ডের কার্ডিফে পরীক্ষাও দেন সোহাগ। কিন্তু পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। ফলে ৮ অক্টোবর নিষিদ্ধ হন সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এরপর গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে ফের পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা দিয়ে দেশে ফিরে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছিলেন, 'এবার আর কোনো সমস্যা হবে না।' হয়নি। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে তার বোলিং বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন সোহাগ, 'আমি খুবই খুশি। আমি এতটাই খুশি যে, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। খবরটা শুনে মনে হয়েছে, বুক থেকে ৫০০ কেজি ওজনের পাথর নেমে পড়েছে।' খবরটি পাওয়ার আগ পর্যন্ত ভীষণ চিন্তিত ছিলেন প্রিমিয়ার লিগে ১৭ উইকেট এবং জাতীয় লিগে ৮ উইকেটে পাওয়া সোহাগ, 'এটা সত্যি পরীক্ষা দেওয়ার পর আমি ভীষণ চিন্তিত ছিলাম। কেননা এবার যদি পাস করতে না পারতাম, তাহলে আমাকে এক বছর সব ধরনের ক্রিকেটের বাইরে চলে যেতে হতো।'