অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে। এটা হাড়ে হাড়ে টের পেল পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জ ক্লাব। সোমবার মান্যবর প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ১৫ মিনিট খেলার পর রেফারির সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ত্যাগ করে ফরাশগঞ্জ। রেফারি নিয়ম অনুযায়ী মাঠে তাদের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ফরাশগঞ্জ ফিরে না আসাতে রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে মাঠ ছাড়েন। বাইলজে স্পষ্ট উল্লেখ আছে কোনো দল খেলতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের প্রতিপক্ষ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সেদিন কেন শেখ রাসেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো না? শেখ রাসেলকে তাদের ন্যায্য ৩ পয়েন্ট পেতে পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি পরের দিন শুধু শেখ রাসেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি। শৃঙ্খলা ভাঙার অপরাধে ফরাশগঞ্জকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সে সঙ্গে লিগ খেলতে বাফুফে যে ১৩ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিল তা ফেরত দিতে ফরাশগঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমন কঠিন সিদ্ধান্তে ফুটবলপ্রেমীরা সন্তুষ্ট। কেননা এমনিতেই ফুটবলের করুণ অবস্থা। এমন কঠিন সময়েও যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তা মেনে নেওয়া যায় না। ফরাশগঞ্জের শাস্তি নিয়ে কেউ আপত্তি তুলেনি। বরং প্রশংসিত হয়েছে বাফুফে। কথা হচ্ছে লিগে বাফুফের কর্মকাণ্ড নিয়ে। লিগকে বিতর্কিত করতে বাফুফেও কম যায় না। কর্মকর্তারা অনেক সময় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সুযোগ পেলেই বাফুফের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু এটাতো সৃষ্টি করেন তারাই। যেমন শেখ জামাল ও মোহামেডানের ম্যাচের কথা ধরা যাক। লিগে এবার শেখ জামাল শুরু থেকেই পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেলকে হারানোর পরই জামালের শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। কথা উঠেছে মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচের দিন মাঠে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি আনা হলো কেন? তাহলে কি বাফুফে আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল ম্যাচে মোহামেডান হারবে? সেদিন ৩-২ গোলে জয়ী হয়েছিল শেখ জামাল। কিন্তু হারলে শেখ রাসেলের পাশাপাশি মোহামেডানেরও শিরোপা সম্ভাবনা জেগে উঠত। এমন অনিশ্চয়তায় মধ্যে মাঠে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি আনা হলো কেন? এ ব্যাপারে বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেকে স্বীকার করেছেন ট্রফি এনে ফেডারেশন বিতর্কিত হয়েছে। যদি ম্যাচে মোহামেডান জিতে যেত তাহলেতো ট্রফি ফেরত নিয়ে যেতে হতো।
বাফুফের এমন কাণ্ডে ফুটবলপ্রেমীরা অবাক হয়ে যান। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেখ জামাল অবশ্যই ট্রফি পাবে। কিন্তু সেটাতো লিগের শেষ ম্যাচে হতে পারত। যে ম্যাচ হারলে জামালের শিরোপা অনিশ্চিত হয়ে পড়ত। সেখানে বাফুফে ট্রফি আনল কেন? এটা নাকি ছিল সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সিদ্ধান্তে। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তে পুরো বাফুফেই সমালোচনার সম্মুখীন। ফরাশগঞ্জ অন্যায় করে শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু যেখানে দল আগে চ্যাম্পিয়নই হয়নি সে ম্যাচে ট্রফি আনাটা কি বাইলজ ভঙের মধ্যে পড়ে না। আবারও বলছি শেখ রাসেলকে হারানোর পরই জামালের শিরোপা পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মোহামেডানকে হারিয়ে দু’ম্যাচ আগেই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু সেদিনকার ট্রফি এনে ম্যাচটা ঘিরে কিছুটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
শিরোনাম
- বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
- টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
- অক্টোবরে এলো ৩১ হাজার ২১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
- ডিগ্রী পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২
- একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : দুলু
- সুশাসন চাইলে সৎ ও যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- ১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
- সিলেট সীমান্তে বিএসএফ’র অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের প্রতিরোধ
- মহাসড়কে বাইক প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল তরুণের
- পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- সাতক্ষীরায় পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দুই মাসের কারাদণ্ড
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- রূপগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
- রং মেশানো ডাল আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- গাজীপুরে রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- সিলেটের শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- খিলগাঁওয়ে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার
পেশাদার লিগে বিতর্ক
বাফুফেও কম যায় না
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর