পাকিস্তানের মিডিয়াগুলো তাদের প্রতিবেদনে প্রমাণ করতে মরিয়া- ওয়াসিম আকরামের ওপর হামলা হয়নি, গুলি চালানো হয়েছে তার গাড়ি লক্ষ্য করে। কিন্তু এতে খুব বেশি লাভ হবে কিনা! ঘটনাটি নিয়ে ক্রিকেটবিশ্ব তোলপাড়। এমনিতেই ২০০৯ সালে লঙ্কান ক্রিকেটবাহী বাসের ওপর জঙ্গী হামলার পর নির্বাসিত পাকিস্তান। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলই নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তান যেতে চায় না। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়েও পাকিস্তান সফর করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের পাকিস্তান পাঠাতে আগ্রহী হবে কি-না! আকরামের গাড়িতে গুলি করার ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় গোটা বিশ্বে। সংবাদ মাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছে আকরামের খবর। অনেক সংবাদে পাকিস্তানকে উপস্থাপন করা হয়েছে মৃত্যুকূপ হিসেবে। ঘটনার সঙ্গে কোনো জঙ্গী হামলার আলামত পাওয়া যায়নি। তাতে কি? ওয়াসিম আকরামের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনাটি তো চোখে আঙুল দিয়ে নিরাপত্তার দুর্বলতাকে নির্দেশ করে। এই ঘটনার পর হয়তো পাকিস্তানের নির্বাসনের সময়টা আরও বেড়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, বুধবার তরুণ পেসার প্রশিক্ষণ দিতে করাচি স্টেডিয়ামে যাচ্ছিলেন আকরাম। পথেই একটা গাড়ি তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। আকরাম পরে ওই গাড়িকে আটকায়। কিন্তু গাড়ি থেকে এক কর্মকর্তা বের হয়ে এসে আকরামের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তবে ওয়াসিম আকরামের কোনো ক্ষতি হয়নি।