দুবাইয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বার্ষিক ‘স্কুলস নাও’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলগুলো থেকে শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কী ধরনের উদ্ভাবন ও পরিবর্তন আসছে- তা নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হয়।
এ বছরে সম্মেলনের থিম ছিল- ‘ট্রান্সফরমিং স্কুলস: লিডারশিপ অ্যাট অল লেভেলস’। প্যানেল আলোচনা ও কর্মশালার মাধ্যমে স্কুল কমিউনিটি কীভাবে ভালো নেতৃত্বের উদাহরণ তৈরি করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন।
সম্মেলনে একটি হাইব্রিড ইভেন্ট ছিল- যেখানে সারা বিশ্ব থেকে সরাসরি ৩০০ জন এবং ভার্চুয়ালি আরও ১৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। এ ইভেন্টে বিভিন্ন অঞ্চল ও সংস্কৃতি থেকে আসা অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভিন্নধর্মী ধারণা, অন্তর্দৃষ্টি এবং সর্বোত্তম রীতি (প্র্যাকটিস) সবার সামনে উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিক মুডি। পাকিস্তান, মিশর, জর্ডান, নাইজেরিয়া, পেরু, স্পেন ও যুক্তরাজ্য থেকে আগত অতিথিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটি বৃহৎ পার্টনার স্কুল নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করি, যার মধ্যে দেশের ৯টি জেলার ১৬৮টি পার্টনার স্কুল রয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- যুক্তরাজ্যর সহায়তায় এ পার্টনার স্কুলগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্নপূরণে সাহায্য করা।
ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুল বিশ্বজুড়ে দুই হাজারেও বেশি স্কুল ও এক লাখের বেশি শিক্ষককে সহায়তা দিয়ে আসছে। প্রায় এক মিলিয়ন শিক্ষার্থীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এ গ্লোবাল ইভেন্টে বাংলাদেশ, আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব-এশিয়া থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ