জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে গণরুম সংস্কৃতি উচ্ছেদ করে সকল বৈধ শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থী। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে নতুন চারটি হল খুলে দেওয়া এবং হলে আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রশাসনকে নেওয়া।
রবিবার (৫ মার্চ) সকাল আটটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে এ অবরোধ কর্মসূচি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালে নাকচ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
পরে বেলা সাড়ে বারোটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা। এসময় উপাচার্য আগামীকালের মধ্যে গণরুম বিলোপ কমিটি গঠন ও পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে একটি কার্যকরী রোড়ম্যাপ তৈরির মাদ্যমে দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে লিখিতভাবে আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আমরা বুঝিয়েছি, তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। আমাদের নতুন হলগুলোর টেকনিক্যাল কিছু কাজ চলছে। মার্চের শেষ দিকে কাজ শেষ হলে নতুন শিক্ষার্থীদের সেখানে তুলতে পারবো। তখন আমাদের আবাসন সংকট দূর হবে।'
এ ব্যাপারে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অর্ণব ইমতিয়াজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'সকাল আটটা থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরোধ বহাল ছিল। উপাচার্য স্যার আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবেন বলে লিখিতভাবে আশ্বস্ত করায় আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে ফের আমরা লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে যাবো।'
বিডি প্রতিদিন/হিমেল