বসন্ত শেষে প্রকৃতির তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ গ্রীষ্মে প্রকৃতিকে রাঙিয়েছে বিভিন্ন ধরণের ফুল। তপ্ত গ্রীষ্মে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে সোন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ও সোনালু ফুল। এ সৌন্দর্য চোখ জুড়ায় শিক্ষার্থীদের। তাপদাহে যেন প্রশান্তি নিয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে এসব ফুল। তাইতো এসব ফুলের সৌন্দর্যের কথা কবিতা, সাহিত্য, গানে বিভিন্ন উপমায় কবিরা নানা ভঙ্গিমায় বর্ণনা করেছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসে মুগ্ধদা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। যেন সূর্যের সবটুকু আলো গ্রহণ করে সহমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে, থানা গেটের সামনে, খালেদা জিয়া হলের ভিতরেসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল রক্তিম ফুল প্রকৃতির সব রঙকে ম্নান করে দিয়েছে। সকালে গাছের নিচে কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়া রক্ত লাল পাপড়ি যেন পুষ্প শয্যা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে সারিসারি গাছে সোনালু ফুল মন কাড়ছে শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের। অনেকে এসব ফুলকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলে ফ্রেমে বন্দি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম বলেন, ‘ফুল শুভ্রতার প্রতীক। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর বিকল্প নেই। এ ফুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার প্রেমিক তার প্রেয়সীর খোপায় কৃষ্ণচূড়া ফুল গুজে দিতেও দেখা যায়।’
শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের ফুলগুলো দেখে চোখ জুড়ায়। তবে সবচেয়ে সৌন্দার্য বাড়ানো প্রধান ফটকের কৃষ্ণচূড়া গাছটি মারা যাওয়ায় কাটা হয়েছে। এ আক্ষেপটি রয়েছে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের ক্যাম্পাস কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে। কৃষ্ণচূড়া বরাবরই আমাদের ক্যাম্পাস এর ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া থাকলেও প্রধান ফটকের কৃষ্ণচূড়া গাছটিকে আমরা হারিয়েছি।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল