নানা শঙ্কা, হতাশা ও সংশয় ছিল চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা এবং নমুনা পরীক্ষায় ল্যাব একটি থাকা নিয়ে। অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মাইক্রোবায়েলজি ল্যাবে এসেছে করোনাভাইরাস শনাক্তসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নমুনা পরীক্ষায় মেশিন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর)।
সোমবার দুপুরে চমেক কর্তৃপক্ষ মেশিনের কার্টনগুলো গ্রহণ করে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আসলে পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। কলেজের একাডেমিক ভবনের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মেশিনটি স্থাপন করা হবে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসে প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে আইসিইউ শয্যা না থাকা এবং নমুনা পরীক্ষায় ল্যাব সংকট থাকা নিয়ে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। কারণ বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনভাইরাস চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জেনারেল হাসপাতাল এবং বিআইটিআইডিতে। তাছাড়া চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে একমাত্র বিআইটিআইডিতে। তবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা চালু করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এবার চমেকে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে নমুনা পরীক্ষায় পিসিআর মেশিন। মেশিনের সঙ্গে দেয়া হয় এক হাজার কীট। চমেকের ল্যাবও পুরোপুরি প্রস্তুত।
চমেক হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পিসিআর মেশিনসহ সরঞ্জাম মিলিয়ে মোট ২৫টি কার্টন গতকাল দুপুরে আসে। ঠিকাদারের প্রকৌশলী সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ যোগাযোগ করেছেন। প্রতিনিধিরা আসলে কার্টনগুলো খোলা হবে। তারাও কিছু যন্ত্রাংশ নিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজাইন অনুযায়ী যন্ত্রটি বসানোর জন্য কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। কলেজ এবং গণপূর্ত বিভাগের সহায়তায় এরই মধ্যে কক্ষটির সবরকম প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। মেশিনগুলো আজ মঙ্গলবার বসানো হবে। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে খুব শীঘ্রই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার