করোনা সংকটেও চলছে চট্টগ্রামে লোডশেডিং। এই লোডশেডিং এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকার সাধারণ মানুষ। সামান্য বাতাস হলেও বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়াতে করোনায় ঘরবন্দি মানুষ কষ্টের মধ্যেই দিনাদিপাত করছেন। তবে পিডিবি বলছে, চট্টগ্রামে কোন লোডশেডিং নেই। যান্ত্রিক ত্রুটি, দুর্ঘটনাসহ নানা কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহসহ দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেশি ঘটেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রায় সব এলাকাতেই দিনে কয়েকবারও লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে লোকজন বাসায় অবস্থান করে সময় কাটাচ্ছেন। এরমধ্যে ঘরবন্দি মানুষগুলোকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হতে হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চল পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী শামছুল আলম বলেন, চট্টগ্রামে লোডশেডিং বলা হচ্ছে, আসলে তা হচ্ছে না। এখানে ছোট খাটো বিভিন্ন সমস্যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। যেমন- গত পরশু রাতে পাঁচলাইশের সুগন্ধা এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়ে। সেটি পিডিবি আরেফিন নগর থেকে শ্রমিক ম্যানেজ করে গাছটি সরিয়ে নেয়। ঐদিন রাতেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয় হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। অন্য শহরের তুলনায় চট্টগ্রাম শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন অধিকতর স্টেবল। তাছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থার কোন দুর্বলতাও নেই। মাঝে মধ্যে সরবরাহ লাইনে গাছ পড়লে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে সড়কে গাছ-গাছালি বেশি। বৈশাখ- জৈষ্ট্য মাসে গাছের ডালপালা ভাঙার বেশি ঘটনা ঘটে। আবার বৃষ্টি হলে সাবস্টেশনের ক্যাবলগুলোতে পানি ঢুকলে লাইন ফল্ট হয়ে যায়। পরে দ্রুত মেরামত করে লাইন স্বাভাবিক করতে হয়। তবে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য পিডিবির লোকজন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে আসছে। পিডিবির আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। অনেক সময় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্যও লাইন বন্ধ রাখতে হয় বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল