তিনি এমবিবিএস (ঢাকা), ডিএইচএমএস, এমবিবিএস (কলকাতা), এমডি, এমফিল (ফিজিশিয়ান), পিইচডি (মেডিসিন এন্ড নিউরোলেজি থিসিস) এবং সাবেক অধ্যাপক। তিনি গোল্ড মেডেলিস্টও। তিনি কনসালটেন্ট অব মেডিসিন, মানসিক ব্যাধি ও স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ। খুলেছেন দুই শয্যার ক্লিনিকও।
তবে তিনি কোনো চিকিৎসকই নন। তার নাম অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সোলাইমান। এমন বহুমাত্রিক চিকিৎসকের সন্ধান মিলেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন অভিযান পরিচালনা করে ডাক্তারের চেম্বার এবং ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতি এবং বয়স বিবেচনায় তাকে কোনো সাজা না দিয়ে অঙ্গীকার নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. ইমতিয়াজ।
জানা যায়, মোহাম্মদ সোলাইমান ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ‘ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এন্ড সার্জারি’ (ডিএইচএমএস) ডিগ্রি অর্জন করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘ডাক্তার সাহেবের চেম্বারের সামনে লাগানো কাগজে অনেক ডিগ্রি, অভিজ্ঞতায় পেয়েছেন স্বর্ণপদকও। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকার কোথা থেকে এমবিবিএস করেছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, এমবিবিএস করি নাই। তাহলে লিখলেন যে? ভুলে লিখেছি। বাসায় দুই বেডের ক্লিনিক বানাইছেন কেন? ওরা নিজেরাই এসে ভর্তি হইছে, আমি জানি না কিছু।
নানা প্রশ্নের পর তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, যান এখন থেকে হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস করবো। এ সময় ডাক্তারের চেম্বার এবং ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি এবং বয়স বিবেচনায় তাকে সাজা দিয়ে অঙ্গীকার নেওয়া হয়।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন