প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহকারীদের প্রথমবারের মত তৈরি করা হচ্ছে তালিকা। তাদেরকে দেওয়া হবে হালদা কার্ড। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন এ তালিকা তৈরি করছে।
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ইতিবাচক হওয়ায় হালদা নদীতে বেড়েছে মা-মাছের আনাগুনা। ফলে ডিম সংগ্রহকারীরাও উৎসুক হয়ে অপেক্ষায় আছেন। তাছাড়া এবার ডিম সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করতে তিনটি ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৬০টি বড় আকারের কুম (কুয়া) এবং তিনটি হ্যাচারি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে ডিম সংগ্রহ করে পোনা উৎপাদন করতে গিয়ে অনেক ডিম নষ্ট হয়। তাই গত বছরের অভিজ্ঞতা এবং হালদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কুম ও হ্যাচারি তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ডিম সংগ্রহকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ডিম সংগ্রহ থেকে শুরু করে পোনা উৎপাদন পর্যন্ত কাজগুলো যদি পরিকল্পিতভাবে করা হয়, তাহলে ডিম নষ্ট হওয়ার সুযোগ কম। এতে করে পোনার হারও বাড়ে। এবার পরিকল্পিতভাবে কাজগুলো করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই ভাল উদ্যোগ।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার