করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে ‘পেপারলেস ব্ল্যাক মার্কেটিং’ এর মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য খাদ্য পণ্যের দাম যেন অযাচিত ও মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি করতে না পারে সে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাই, রিয়াজুদ্দিন বাজার, পাহাড়তলী বাজারসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল পাইকারি বাজারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরু হয়েছে। অভিযানে চার আড়তদারকে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের এ বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনীর টিম এবং সিএমপি সদস্যগণরাও ছিলেন। সেনাবাহিনীর টিম লিডার ছিলেন ক্যাপ্টেন কাফিউন নাহার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে পরিচালিত অভিযানে পান-সুপারির গোডাউনে লুকিয়ে রাখা মিয়ানমার থেকে সম্প্রতি আমদানিকৃত ১২ টন আদার সন্ধান পেয়েছেন জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৮৮ বস্তায় রাখা এসব আদা বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুদ করা হয়। মজুদকৃত আদা গুদাম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বের করা হয়।
তিনি বলেন, আড়তদারদের স্বীকারোক্তি মোতোবেক খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকায় অবস্থিত মেসার্স আজাদ সিন্ডিকেট নামক কৃষিপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে ‘পেপারলেস ব্ল্যাক মার্কেটিং’ এর মাধ্যমে আদার মূল্য বৃদ্ধি করছে। আমদানিকারক এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ থেকে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/সাইদুল ইসলাম