চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে কিছু নমুনা টেস্ট করা হয়েছে। শনিবার থেকে চূড়ান্ত রূপে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ল্যাব এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সাইসেন্স ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে। তবে বিআইটিআইডি’র সংগ্রহ করা নমুনাই সিভাসুতে পরীক্ষা করা হচ্ছে। চমেকে এবার চালু হচ্ছে তৃতীয় ল্যাব।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সিভাসু থেকে আনা পিসিআর মেশিনটি বৃহস্পতিবার ল্যাবে স্থাপন করা হয়েছে। এরপর পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু টেস্ট করা হয়। আশা করছি আগামী শনিবার থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।’
জানা যায়, গত ৩ মে চমেকে একটি পিসিআর মেশিন স্থাপন করার পর মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে চমেকে করোনা পরীক্ষা। পরে ত্রুটি সারাতে ওই দিনই মেশিনটি ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর ৪ মে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার অনুরোধে সিভাসু থেকে একটি পিসিআর মেশিন ধার দেওয়া চমেক হাসপাতালে। পরের দিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেশিনটি হস্তান্তর করে। বর্তমানে বিআইটিআইডি’র ল্যাবে দুটি মেশিনে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা আছে সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৫০টি। তবে প্রতিদিন তিনশতাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের একটি নমুনা সংগ্রহের পর সর্বোচ্চ তিনদিন রাখার নিয়ম থাকলেও বর্তমানে সাতদিন পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। এ ল্যাবে জনবল আছে একজন ল্যাব প্রধান, আটজন টেকনিশিয়ান, একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও তিনজন স্বাস্থ্য সহকারি। আজ পর্যন্ত এ ল্যাবে এক হাজারের বেশি নমুনা জমা আছে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার