সিংহাসনে যখন তিনি বসেন, তখন তার বয়স মাত্র নয় বা দশ বছর। সে দিক থেকে তুতেনখামেন ছিলেন সেই রাজত্বের সব থেকে অল্প বয়সী রাজা।
সিংহাসনে বসার পরে তুতেনখামেন বিয়ে করেন তার সৎ বোন আনেখসেনপাতেন'কে। পরে তিনি নিজের নাম বদলে হয়ে যান আনেকসুনামুন। তুতেনখামেন খুব অল্প সময়ের জন্য রাজত্ব করে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে মারা যান।
মিশরের রাজা বা ফারাওদের সমাহিত করা হতো পিরামিড তৈরি করে, এ তথ্য আজ সর্বজনবিদিত। তুতেনখামেনের পিরামিডের হদিশ পান লর্ড কার্নারভন ও হাওয়ার্ড কার্টার, ১৯২৩ সালে। স্বাভাবিকভাবেই, তার পর থেকে লাগাতার খোঁজ চলছে তুতেনখামেনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সমাধিরও।
সম্প্রতি, মিশরের 'ভ্যালি অফ কিংগস'-এ একটি পিরামিড পাওয়া গেছে যা, গবেষকদের মতে, আনেকসুনামুনের হলেও হতে পারে। ২০১৭ সালের গোড়ার দিকের ঘটনা। বর্তমানে সেখানেই খনন কার্য চালাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিক ও মিশরের প্রাক্তন মন্ত্রী জাহি হাওয়াস। তার বিশ্বাস, এই পিরামিডের ভেতরেই রয়েছে রানির মমি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে, ওই একই জায়গায় তুতেনখামেনের উত্তরাধিকারী, আই-এর সমাধি পাওয়া গিয়েছিল। রাডার টেকনোলজির সাহায্যেই বিশেষজ্ঞরা তা নিশ্চিত করেন।
শোনা যায়, তুতেনখামেনের স্ত্রী, রানি আনেকসুনামুনের জীবন একেবারেই সুখের ছিল না। তুতেনের ঔরসে তার দুই কন্যাসন্তান হয়। কিন্তু, দুই সন্তানই মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। তুতেনের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবনও বেশি দিনের ছিল না। এবং ফারাও-এর মৃত্যুর পরে, মিশরের পরবর্তী ফারাও আই তাকে বিয়ে করেন। নিজের বাবা ও ঠাকুরদাদার সঙ্গেও বিয়ে হয় আনেকসুনামুনের।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত