বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মানুষের কষ্ট দেখেছেন? প্রতি বছর আশ্বিন ও কার্তিক মাসে এসব এলাকায় মঙ্গা হতো। শত শত লোক না খেয়ে মারা যেতো। সেই সময় পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। আমি ছোটকাল থেকে আমার গ্রামে দুর্ভিক্ষ দেখেছি। মানুষের কষ্ট দেখেছি। কোন মানুষের ঘরে খাবার থাকতো না। ছনের ঘর দিয়ে পানি পড়তো। সেই বাংলাদেশে আজ ছনের ঘর নেই। সকল বাড়িতে বিদ্যুৎ, ভাত রান্নার চুলা আছে। বাংলাদেশ ঘরে ঘরে টেলিভিশন ফ্রিজ আছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন পাকিস্তানের সময় নাকি তারা ভালো ছিল।
শনিবার বিকালে জেলার মোছলেহ উদ্দিন ভুঞা স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত সমাবেশ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি, নরসিংদী সদরের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতিক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত দুই দিন আগে মির্জা ফখরুল নিজ এলাকায় একটি বক্তব্য দিয়েছেন, পাকিস্তান আমলেই নাকি বাংলাদেশটা ভালো ছিল। মূলত উনার পিতা ছিলেন একজন রাজাকার ছিলেন। এবং শান্তি বাহিনীর প্রধান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর জীবন বাঁচাতে তিনি ছয় মাস ভারতে পালিয়ে ছিলেন। চিন্তা করেন কত বড় রাজাকার এবং পাক-বাহিনীর দালাল ছিলেন। ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। বাংলাদেশের ১৫ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। আজকে বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে বিদ্যুতের লাইন যায় না। দুর্গম এলাকা, সেখানে সোলারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশেনে ৪ জন সভাপতি ও ১৮ জন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হয়। পরে জিএম তালেব হোসেকে সভাপতি এবং পীরজাদা মোহাম্মদ আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত