বর্তমান সরকার সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে ওজোনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ওজোন স্তর সুরক্ষায় নেয়া মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সকল কর্মসূচি ও প্রকল্প সরকার বিশেষ গুরুত্ব সহকারে যথাসময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে।
আজ সোমবার রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এইচসিএফসির ব্যবহার রোধের দিক নির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতিশীঘ্রই কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে। এ বছর বিশ্ব ওজোন দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপন ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এলক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২ বাস্তবায়ন করছি। এর বিকল্প প্রযুক্তি একই সঙ্গে ওজোনস্তর এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
তিনি বলেন, উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির পথ উন্মুক্ত হবে। এজন্য সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। রূপান্তরিত এসিগুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়, তার প্রতিও বিশেষ নজর দিতে হবে। এতে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। -বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক