নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ দেশে থাকতে হলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ইস্তেহার আর স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কোন সুযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান মারা যাওয়া পর্যন্ত তিনি সান্ধ্য আইন চালু রেখেছিলেন। তখন রাত ১২টার পর থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারতেন না। সারাদেশে সান্ধ্য আইন চালু করেছিল, তারা এখন আমাদের বলে গণতন্ত্র শেখো, হা না ভোট দিয়ে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, তারা এখন আমাদের ভোটাধিকার শেখায়। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে পুনর্বাসন করেছেন, চাকরি দিয়েছেন, তারা এখন বলেন দেশে সুশাসন চাই, তারা বলে আইনের শাসন চাই। যারা খুনিদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন তারা এখন বলছেন রাজনীতির পরিবেশ চাই।
শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা চোখা মিয়া একজন রাজাকার ছিলেন বলে মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর তিন বছর তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে লুঙ্গি পরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিয়েছিলেন। এখন তার ছেলে রাজনীতিতে এসে হাসিমুখে বলেন যে দীবালোকের মতো নাকি তিনি দেখতে পাচ্ছেন আগামীতে তারা জয়ী হবেন। তিনি আসলেই এজন্য হাসেন না, তিনি হাসেন যে, তার কোথায় থাকার কথা ছিল আর তিনি এখন কোথায়। একজন রাজাকারের ছেলে হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এজন্যই তার হাসিমুখ।
দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকশি বাচ্চুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জেলা সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল সিদ্দিকী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত