বাগান করা অনেকেরই শখের বিষয়। অবসর সময় কীভাবে কাটাতে পছন্দ করেন? এই প্রশ্নের জবাবে অনেকেই বাগান করার কথা বলে থাকেন। বাড়ির খুব কাছে ফুলের বাগান থাকলে মন থাকে প্রফুল্ল। তাছাড়া শিশুদের মনও ফুলের মতো পবিত্র হিসেবেই বেড়ে ওঠে। কিন্তু ফুলের বাগান করা খুব সহজ কাজ নয়। কেবল অলস সময় কাটালেই হয় না। সেই সঙ্গে অনেক ঘাম ফেলতে হয় এই বাগান করার পিছনে। ইংরেজিতে গার্ডেনিং বলে থাকে বিষয়টিকে। শরীরে যাদের অতিরিক্ত মেদ জমে আছে অথচ ব্যায়ামের দিকে একটুও আগ্রহ নেই, তাদের জন্য গার্ডেনিং কিংবা বাগান করা এক উত্তম কাজ। শখের বাগানও হয়ে গেল। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও কমে গেল!
বাগান অনেক রকমেরই হতে পারে। শহরে বাড়ি হলে সাধারণত ছাদেই বাগান করতে হয়। অনেকে আবার রুমের ভেতরেই বাগান করে থাকে। গ্রামের বাড়িতে বাগান করলে সাধারণত বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে করতে হয়। বাগান যেমনই হোক না কেন, কষ্টের পরিমাণ কমে না কোনোটাতেই। বাগানে নিয়মিত কাজ করলে প্রতি ঘণ্টায় সাধারণত ৩০০-৫০০ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হয়। বাগানে কাজ করার সময় শরীরের প্রায় সব অঙ্গই সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে হাত, পা, পেট, কাঁধ ইত্যাদি অঙ্গের পেশিগুলোকে অধিক সক্রিয় থাকতে হয়। এতে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যায়। প্রচুর ঘাম ঝড়ে বাগানে কাজ করার সময়। এই ঘামই শরীরকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে।
গার্ডেনিং কিংবা বাগান করা শখের হলেও এতে শরীরের অনেক উপকার হয়। ব্যায়াম যাদের কাছে ঝামেলার মনে হয়, তাদের জন্য গার্ডেনিং এক চমৎকার বিষয়। মন ভালো রাখার সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সুস্থ রাখা যায়। তবে গার্ডেনিংয়ের জন্য সতর্ক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। দা কিংবা কাঁচি যাই হোক না কেন, সাবধানে চালাতে হবে। একটু অসতর্ক হলেই বড় রকমের ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে অবশ্য গার্ডেনিং একটি চমৎকার বিষয়। নিজের জন্য তো বটেই পরিবেশ এবং পরিবারের জন্যও।