আপেল দিয়ে খেলা
ক্রিকেট হবে ব্যাটে-বলে কিন্তু কখনও আপেল দিয়ে এ খেলা হয়েছে কেউ কী বিশ্বাস করবেন। হ্যাঁ, এশিয়া কাপ আসরেই এ বিরল ঘটনা ঘটে তাও আবার ঢাকাতেই। ১৯৮৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ আসর। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়। আসর শেষে এক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন হয়। সেখানে চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল বাছাই একাদশ। টসে জিতে ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন সুনীল গাভাস্কার। প্রথম বলেই তিনি বাউন্ডারী হাঁকালেন। পরে বলে কোনো রান নিতে পারেননি। কিন্তু তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে দেখলেন বলটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনার রহস্য বের হয়ে আসল। আসলে বলের বদলে গাভাস্কারকে বোলার আপেল ছুঁড়েছিলেন। প্রীতি ম্যাচ বলেই দর্শকদের আনন্দ দিতেই বোলার এ কাজটি করেন।
ইমরান-কপিল নিখোঁজ
১৯৮৮ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে অংশ নিতে দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান খান ও কপিলদেব ঢাকায় এসেছিলেন। তবে তাদের কেন জানি মাঠে খুব একটা দেখা যায়নি। এ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতীয় মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। মাঠে না নামলেও সেবার দুই ক্রিকেটারের কিছু কীর্তিকলাপ ঘিরে ঢাকাতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইমরান ও কপিল এক রাতের জন্য নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও রাতে আর সন্ধান মেলেনি। সকালে অবশ্য দুজনারই সন্ধান মিলেছিল। ইমরান দাওয়াত রক্ষা করতে তখনকার টিভির জনপ্রিয় এক খবর পাঠিকার বাসায় যান। অনেক রাত হয়ে যায় বলে তিনি আর হোটেলে ফেরেননি। আর কপিলদেব নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন জনপ্রিয় এক নায়িকার বাসায়। গল্প করতে করতে রাত হয়ে যায় বলে সেদিনের রাত্রিটা তিনি কাটিয়ে আসেন ওই নায়িকার বাসায়।
রানাতুঙ্গার ভক্ত
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের পর দর্শকরা এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও ভারতকেই সমর্থন দিয়েছিলেন। গ্যালারিতে তেমনভাবে শ্রীলঙ্কার সাপোর্টার দেখা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তার ব্যাটিং ও বোলিংয়ের সময় দর্শকরা তাকে করতালি দিয়ে উৎসাহ দেন। প্রতিটি ম্যাচে রানাতুঙ্গার ভক্তের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণটা ছিল ভিন্ন, রানাতুঙ্গা সে বছরই ঢাকা লিগে মোহামেডানের পক্ষে খেলেন। তাই তার প্রতিটি ম্যাচে মোহামেডানের শত শত সাপোর্টার উপস্থিত হয়ে উৎসাহ দিতেন।
মঈন খানের বিস্ময়
২০০০ সালে মঈন খানের নেতৃত্বে ঢাকায় এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। আসরে এটিই তাদের প্রথম শিরোপা ছিল। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়তে গিয়ে পুরো গ্যালারিই প্রায় পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। পত পত করে উড়ছে চাঁদ-তারা পতাকা। এমন দৃশ্য দেখে ম্যাচ মঈন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন বাংলাদেশে এত সাপোর্ট পাব তা ছিল আমার ধারণার বাইরে।