আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ২৪৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪৭.৭ ওভার খেলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
এরআগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জিততে হলে আফগানিস্তানের দরকার ২৪৯ রান।
পাকিস্তানের উমর আকমল দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে দলকে সম্মানজনক রান উপহার দিতে সক্ষম হয়। ৮৯ বল খেলে অপরাজিত থেকে ১০২ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে উমর আকমল (১০২)*, শেরজিল খান (২৫), মোহাম্মদ হাফিজ (১০), আহমেদ শেহজাদ (৫০), শোহাইব মাকসুদ (১৩), আফ্রিদি (৬), আনোয়ার (২১), ওমর গুল (১৫), আজমল (১)* ও মেজবাহ উল-হক (০) রান করে আউট হন।
অতিরিক্ত থেকে আসে ৫টি রান।
আফগানিস্তানের পক্ষে দৌলাত ২টি আশরাফ ২টি, হামজা ১টি ও সামিউল্লাহ ২টি করে উইকেট নেন।
১২তম এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ১২ রানের অপ্রত্যাশিত হার। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের সাথে মোকাবেলা করতে হবে।
এশিয়া কাপের নতুন চমককে থামিয়ে দিয়ে নিজেদের টিকে রাখতে চায় মিসবাহ উল হকের দল। আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আফগানদের নতুন যাত্রা। ১২তম এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ৫টি দল খেলছে। ৫ দলের মধ্যে আফগানিস্তানকে সবাই জায়ান্ট কিলার হিসেবেই ভাবছে।
বাকি ৪ দলের ভয়ের জায়গাটিতেই তারা আঘাত হেনে ঘায়েল করার চেষ্টা করবে। এশিয়া কাপ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর কন্ঠে ছিল এমনই সুর। তিনি বলেছেন, প্রতিটি দলই আমাদের থেকে অনেক অভিজ্ঞ এবং শক্তিশালী। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা আমাদের খেলাটা খেলার চেষ্টা করব। নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ থাকছে এশিয়া কাপে।
দুই বছর পর আবারো একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান। প্রতিবেশি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে সর্বশেষ ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি একটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। ওই ম্যাচে সাত উইকেটে পরাজিত হয় আফগানরা।
২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক ঘটে আফগানিস্তানের। এ পর্যন্ত ২৭টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে তারা। যার মধ্যে ১৬টি জয় ও ১১টি হার। পাকিস্তানের সঙ্গে পাল্লায় মাপ দিলে আফগানিস্তান সবে মাত্র হাঁটতে শুরু করেছে আর পাকিস্তান যোজন-যোজন দূর চলে গেছে।
আফগাস্তিান সবচেযে বেশি ম্যাচ জিতেছে কানাডা, কেনিয়া, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। চারটি করে ম্যাচ জিতেছে তাদের বিপক্ষে।
পাকিস্তান : মিসবাহ উল হক (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, সোহাইব মাকসুদ, মোহাম্মদ হাফিজ, উমর আকমল, শহীদ আফ্রিদি, উমর গুল, সাঈদ আজমল, শিরাজিল খান, আনোয়ার আলী ও জুনায়েদ খান।
আফগানিস্তান : মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), আসগর, হামিদ হাসান, সাদিক, আশরাফ, মোহাম্মদ শাহজাদ, নূর আলী, মঙ্গল, সামিউল্লাহ, শাপুর, দৌলাত, হামজা, রহমত শাহ ও ফজল।