দুর্দান্ত একটি মৌসুম শেষ করল বাংলাদেশ। গত এক বছরে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারতে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যা দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম। এমন বিরল কীর্তি যার নেতৃত্বে হয়েছে, তিনি সবার প্রিয় মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেই মাশরাফি স্পষ্ট করেই বলেছেন, এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এখন সবচেয়ে বড় কাজ এবং এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। দুর্দান্ত একটি মৌসুম শেষ। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। সফরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শুধু দুটি টেস্ট খেলবে।
খেলবে না কোনো ওয়ানডে কিংবা টি-২০ ম্যাচ। কাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে সফরসূচি ঘোষণা করেছে। ২৫ দিনের সফরে একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবেন মাইকেল ক্লার্ক, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মিচেল জনসনরা। প্রথম টেস্ট চট্টগ্রামে ৯-১৩ অক্টোবর এবং দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে ১৭-২১ অক্টোবর। একমাত্র প্রস্তুতি মাচটি ৩-৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে। অসিরা ঢাকায় পা রাখবে ২৮ সেপ্টেম্বর।
অস্ট্রেলিয়া গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে গেছে। তবে সিরিজ খেলতে দ্বিতীয়বারের মতো আসছে বাংলাদেশে। প্রথম বাংলাদেশ সফরের এসেছিল ২০০৬ সালে। ফতুল্লায় খেলেছিল প্রথম টেস্ট এবং চট্টগ্রামে দ্বিতীয়টি। ৯ বছর আগে ফতুল্লার টেস্টের দিনক্ষণ ছিল ৯-১৩ এপ্রিল। পঞ্চমদিন পর্যন্ত লড়াই করে টাইগাররা হেরেছিল ৩ উইকেটে। অথচ প্র্রথম চারদিন টেস্টের চালকের আসনে বসেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে হেরেছিল ইনিংস ও ৮০ রানে। ২০১১ সালে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ২০০৩ ও ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর করে। প্রথমবার দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে খেলে এবং ২০০৮ সালে শুধুমাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এখন পর্যন্ত চার টেস্ট খেলে হেরেছে সবগুলো। ১৯ ওয়ানডেতে জয় সাকল্যে একটি, তাও ২০০৫ সালে কার্ডিফে।