পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসি ও সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া হঠাৎ করেই সোমবার সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। সফরে তাদের সঙ্গে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফও।
যদিও এদিন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের অংশগ্রহণে সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইসলামি সামরিক জোট গঠনের জন্য চূড়ান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই বলা হচ্ছে সম্মেলন উপলক্ষেই এ সফর। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এক সঙ্গে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন।
২০১৫ সাল থেকে এ সামরিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হলেও তা দীর্ঘদিন ধরে সফল হয়নি। জোট গঠনের সময় ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং আফগানিস্তানকে বাদ রাখা হয়। ফলে শুরুতেই জোট গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের নামে এ জোট মুসলিম বিশ্বে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করবে।
এছাড়া অনেকেই মনে করছেন এই সামরিক জোট বিশেষ কিছু দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারে। এজন্য জোট গঠনের শুরুতেই পাকিস্তান খানিকটা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। দেশটি বলছে, ইসলামাবাদ সামরিক জোটে যোগ দিতে পারে তবে কোনো সুনির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা অংশ নেবে না এবং দেশের বাইরে কোনো সেনা পাঠানো হবে না। পাকিস্তান এ বিষয়ে সৌদি আরব ও নিকটতম প্রতিবেশী ইরান দুইটি দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান