মাত্র আট বছর বয়স৷ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পাকিস্তানের কাসুর শহরের এক আস্তাকুঁড় থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নিথর, গলে যাওয়া তার মৃত দেহ ৷ মেরে ফেলার আগে আট বছরের সেই ছোট্ট জইনাবকে ধর্ষণ করা হয়েছিল৷
গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা পাকিস্তান৷ রাজপথে চলেছিল প্রতিবাদ, মিছিল, বিক্ষোভ ৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল গোটা বিশ্ব থেকে৷ জইনাবের ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত জইনাবের প্রতিবেশি ২৩ বছরের ইমরান আলি সম্প্রতি ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে৷ পুলিশের কাছে ইমারন স্বীকারও করেছে এই ধর্ষণ ও হত্যার কথা।
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জইনাবের ধর্ষক ও খুনি ইমরান আলি ৷ পরীক্ষা করা হয় ডিএনএও ৷ তবে পুলিশকে সব কথা খোলাখুলিই জানিয়েছে ইমরান আলি৷ সে জানিয়েছে, শুধু জইনাবই নয়, এই একইরকমভাবে বহু শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করেছে ইমরান ৷
পুলিশকে জইনাবের খুনের ঘটনা জানাতে গিয়ে ইমরান বলেন, ‘আমি করতে চায়নি ৷ আমার ওপর শয়তান ভর করেছিল, আর সেই কারণেই আমি জইনাবের ওপর অত্যাচার করি ।!’ ২০১৫ সাল থেকে ৮ জনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিরুদ্ধে। তার গ্রেফতারির খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গোটা বিশ্ব। দুনিয়ার প্রতিটি কোণ থেকেই ইমরানকে কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে টুইটারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি কোরান শিক্ষার পর বাড়ির পথে ফিরছিল জইনাব ৷ জইনাবের মা-বাবা মক্কায় ওমরাহ পালনে গিয়েছিলেন ৷ মঙ্গলবার জইনাবের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রাস্তার ধারের আস্তাকুঁড় থেকে ৷ জইনাবের বাবা জানিয়েছিল, ‘ন্যায়-বিচার না পাওয়া পর্যন্ত কবর দেবেন না মেয়ের মৃতদেহ।’
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর