তুরস্কের সঙ্গে আরও 'বড় ধরনের পরিকল্পনা' করছে রাশিয়া। প্রথম দফার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চালান তুরস্কে পৌঁছানোর পর এই পরিকল্পনা করছে দেশ দুটি।
মঙ্গলবার রাশিয়ার একমাত্র অনুমোদিত অস্ত্র রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রজোবরনএক্সপোর্টের প্রধান আলেক্সান্ডার মিকেভ এ কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
আলেক্সান্ডার মিকেভ জানান, যেহেতু রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান তুরস্কে পৌঁছেছে, তাই দেশ দুটি দ্বিতীয় দফার চালানের ব্যাপারে আলোচনা করছে। সাথে এই কথাও বলেন যে, দুই দেশের সামরিক সহযোগিতা কেবল এস-৪০০ এস প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, তুরস্ক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য পুরো অর্থই পরিশোধ করেছে এবং রাশিয়াও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সব সারঞ্জাম পাঠিয়েছে।
এদিকে, একই দিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান নিজস্ব যুদ্ধবিমান বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে দেশেই যুদ্ধবিমান বানানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। এর জন্য এফ-১৬ এস এবং ড্রোন বানাতে যে বিস্ফোরক দ্রব্য প্রয়োজন তার সুবিধা এবং মূল্যের ব্যাপারে তদন্ত চালানো হবে।
এরদোগানের এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ যুক্তরাষ্ট্র। কারণ রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় তুরস্কের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি আটকে দিয়েছে ক্ষুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
বিডি প্রিতিদিন/আরাফাত