প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া বিভিন্ন সংকট সামলাতে একটি যৌথ সামরিক বাহিনী গড়তে আলোচনা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। ২০২৫ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার সদস্যের এই বাহিনী গড়তে চায় ইইউ।
এ লক্ষ্যে ২৮ পৃষ্ঠার একটি খসড়া তৈরি করেছেন ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল। ইইউ মন্ত্রীরা সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে এই খসড়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন। আজ মঙ্গলবারও আলোচনা চলবে। আগামী মার্চের মধ্যে খসড়াটি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
‘ইইউ ব়্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট ক্যাপাসিটি' নামে এই বাহিনীতে ইইউ’র ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের সবার অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক থাকবে না। তবে এই বাহিনী মোতায়েন করতে ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে।
ইইউ নেতারা দুই দশক আগে ৫০-৬০ হাজার সদস্যের একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করতে একমত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
খসড়ায় বলা হয়, ‘‘সামরিক সংকট ব্যবস্থাপনার কাজ করতে আমাদের আরও ক্ষিপ্রতা, শক্তিসামর্থ্য ও নমনীয়তা প্রয়োজন।''
‘স্ট্র্যাটেজিক কম্পাস' নামে এই খসড়ায় আরও বলা হয়, ‘‘আসন্ন হুমকি মোকাবিলা এবং উদ্ধার বা স্থানান্তর মিশন বা প্রতিকূল পরিবেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার মতো সংকট মোকাবিলায় আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে।''
এই বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, আকাশপথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সক্ষমতা গড়ে তুলতে ইইউ দেশগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকার চেয়েছেন জোসেপ বরেল।
নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলতে ইইউকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেটা ন্যাটোর পরিপূরক হবে বলে মন্তব্য করেছেন জো বাইডেন।
২০০৭ সাল থেকে ইইউ’র ১৮টি ব্যাটেলগ্রুপ রয়েছে যার সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। কিন্তু চাঁদ ও লিবিয়ায় তাদের মোতায়েনের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাটেলগ্রুপগুলোকে কয়েকটি ছোট ইউনিটে পরিণত করা গেলে তাদের মোতায়েন করা সহজ হতে পারে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে ও রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন