স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, কৃষকরা বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বিপ্লব ঘটিয়েছে। তারা চর থেকে তামাক দূর করে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন করছে। চরের কৃষিতে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি থাকায় নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং চরের ফসল বিদেশে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে।
রবিবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের চর জয়দেব সরকারপাড়ার বালু চরে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত ও সোলার সেচ পাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চিও জমি খালি না রেখে আবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা অনুযায়ী চরের পতিত জমিগুলোকে ফসল আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে উচ্চফলনশীল জাত আবিস্কারসহ আধুনিক চাষ পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে করে চরের ফসল উৎপাদন বেড়েছে। আগামীতে ফসল উৎপাদন বাড়াতে চরগুলোতে সোলার পাম্পের ব্যবস্থা করা, কৃষকদের ১ লাখ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা এবং জরুরী ভিত্তিতে ফসল সংরক্ষণে একটি হিমাগার স্থাপন করা হবে।
এরপর বালুচরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক খলিল আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না, এমফোরসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ, পামকিন প্লাস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, সুইস কন্ট্যাকের কর্মকর্তা শ্রীপদ সরকারসহ অন্যরা।
বিডি প্রতিদিন/এএম