বিএনপি না জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, তাদের আমলে নির্বাচন নিয়ে প্রথমে প্রশ্ন ওঠে।
রবিবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা সবার আগে আওয়ামী লীগই বলেছে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। আমরা যখন দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছি বিএনপি তখনো বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার সারাজীবন ধরে গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন। কিন্তু বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছে। এ দেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আজকে যদি ৭ মার্চের কথা বলি তাহলে ১৯৪৭ সালে যাদের নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চেয়েছি তারা আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে মনে করতেন। পাকিস্তানিরা সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাদের একে একে বঞ্চিত করা শুরু করল। বাঙালিরা আশা করেছিল ১৯৭০ সালে একবার এদেশকে নেতৃত্ব দেবে কিন্তু পাকিস্তানিরা তা হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। অথচ স্বাধীনতার চার বছর পরে ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমাদের মাথাপিছু আয় ১৪০ ডলারের বেশি যায়নি। হতদরিদ্র দেশটিকে বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে ১৯৭২ সালে ৯৪ ডলারে উন্নতি করে আমাদের মাথাপিছু আয় ২৩৪ ডলার হয়েছিল। তারপর আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে ৬০০ ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করে, যা ১৪ বছর পর বর্তমানে ২৮১০ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন শিক্ষা, প্রযুক্তি, বাসস্থান, খাদ্যসহ সবকিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বলতে গেলে অনেক সময় চলে যাবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। ছাত্রলীগ সবসময় বঙ্গবন্ধুর সাথে থেকে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। বিসিএসে আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেরাই বেশি থাকবে। কারণ এ সংগঠনের মতো বড় সংগঠন এদেশে নেই। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী দক্ষ এবং যোগ্য। তারা এদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সাংগঠনিকভাবে পরিপক্ব বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এছাড়া সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই