ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুইজন শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন।
শনিবার সিনেট ভবনে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য বিশেষ অধিবেশন ছিল। বিকলে সাড়ে ৩টার দিকে বাম ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সিনেট ভবনের ফটকে জড়ো হন। তারা ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম আমজাদ আলী, সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ফটকের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। তারা শিক্ষার্থীদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের প্রভাষক রাকিবুল হাসানসহ দুই শিক্ষক আহত হন। রাকিবুল হাসান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, সিনেটে পাঁচজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু গতকালের সিনেট অধিবেশনে সেটা ছিল না। এজন্য আমরা ভিসি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায়। সিনেট ভবনের গেট বন্ধ ছিল। বাইরে পুলিশ, প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন। আমরা ভেতরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে তারা আমাদের বাধা দেন। এক পর্যায়ে আমরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষকরা আমাদের ওপর চড়াও হন। এতে তাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, 'ছাত্ররা ডাকসু নির্বাচনের দাবি নিয়ে আসছিল। আমরা তাদের গেটের বাইরে কর্মসূচি পালনের জন্য বলি। কিন্তু তারা গেট ভেঙে ভেতরে আসে। এসময় আমরা কয়েকজন শিক্ষক বাধা দিলে একটু ঠেলাঠেলি হয়।'
তিনি বলেন, 'ছাত্ররা আমাদের লাথি, ঘুষি মারছে শিক্ষক হিসেবে এগুলো বলতে চাচ্ছিনা। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে যেয়ে অন্যেরটা যেনো খর্ব না হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।'
বিডি প্রতিদিন/২৯ জুলাই ২০১৭/আরাফাত