জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের গাফলতির বিরুদ্ধে এ আন্দোলন নামেন তারা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নানান প্রক্রিয়ায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী, আলাওল ও এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্যকেও বেশ কয়েকবার জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ধরনের কর্ণপাত করেননি। এছাড়াও আমরা এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল পর্যন্ত করেছি, তারপরেও তারা কোনো ধরনের সমাধানের চেষ্টা করেননি। তাই আমরা শেষে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, অ্যালোটমেন্টের মাধ্যমে সিট পেয়েছি, কিন্তু হলে গিয়ে দেখি আমার সিটে অন্যজন থাকছে। বছর শেষে সিটের ফিসও আমাকে দিতে হচ্ছে। আমরা একমাস ধরে বরাদ্দকৃত সিট নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে বলে আসছি। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আমরা আমাদের বরাদ্দকৃত সিটে থাকতে পারছি না। যতদিন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
এসময় তারা আরও বলেন, প্রশাসন যদি অস্ত্রধারীদের ভয় পায় তাহলে আমাদের অবগত করুক। বিষয়টা আমরাই দেখবো। প্রশাসনকে সময় দেয়া হয়েছিল। সেই সময় শেষ, আমাদেরও সময় শেষ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বিশ্বিবদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, তারা একটা লিস্ট দিয়েছে, সেটা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখছি। তারপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিব।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম