বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষকের ১৭ ধরনের নিকটাত্মীয় থাকলে তিনি পরীক্ষার কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। কিন্তু এ নিয়মের ব্যতয় ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়ার বিরুদ্ধে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘জে’ ইউনিট অধিভুক্ত বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অধ্যাপক মো. দানেশ মিয়ার বোনের ছেলে। মেধা তালিকায় ৫১তম হয়ে তার বোনের ছেলে ইনস্টিটিউটের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ভর্তি হন। ওই পরীক্ষায় প্রশ্ন পুনঃপ্রণয়নের (মডারেট) দায়িত্বে ছিলেন ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক ও ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া ও অধ্যাপক ড. জরিন আখতার। অধ্যাপক দানেশের বোনের ছেলে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন বিষয়টি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অপর দুই শিক্ষককেও জানানো হয়নি। এছাড়া এই
ব্যাচের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ইএনভি-১২৪ সমাজতত্ত্ব কোর্সটিও অধ্যাপক দানেশ পরিচালনা করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিষয়টিকে 'সার্বজনীন নিয়ম’ পরিপন্থী বলে মনে করছে শ্ববিদ্যালয়ের
একাডেমিক শাখা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক শাখা) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোছাইন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘শুধু ভর্তি পরীক্ষা নয়, যেকোন পরীক্ষায় কোন শিক্ষকের নিকটাত্মীয় অংশ নেওয়ার কথা থাকলে তিনি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন
করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষককে ঘোষণা দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে আসতে হবে। এটি পরীক্ষার সার্বজনীন নিয়ম। অতীতে এই নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ একাধিক পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার নজির রয়েছে।’
বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের এমন ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মুছা বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া ও রাফিউল্লার মুঠোফোনে কয়েকদিন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও নাম্বার দুটিই বন্ধ পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল