নিয়ম না মেনে জামালপুরে যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক স্টেন্টার। এদের বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নবায়ন নেই। নানা অনিয়ম আর ভুল চিকিৎসা হচ্ছে হরহামেশা। বিশেষ করে সিজারিয়ান অপারেশনে এসব হাসপাতালে প্রায়ই প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। জামালপুর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল। কিছু অনিয়ম ও দুর্বলতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যে দু-একটি মৃত্যু হচ্ছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা চিকিৎসক চান না রোগী মারা যাক। হাসপাতলে তো অসুস্থ রোগীই আসেন। সবাই যে সুস্থ হয়ে ফিরে যাবেন এমন তো নাও হতে পারে।’ জামালপুর সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল ৫৮টি আর ১০৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হাসপাতাল ও পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সই নেই। সবশেষ ২০২৪-২৫ মেয়াদে লাইসেন্স হালনাগদ রয়েছে ১২টি হাসপাতাল আর ২০টি ডায়াগনস্টিকের। অন্যগুলোর লাইসেন্স নবায়ন নেই। বেসরকারি হাসপাতাল বেশির ভাগই করা হয়েছে আবাসিক ভবনে। ফলে নেই প্রয়োজনীয় বর্জ্যব্যবস্থাপনা। পার্কিং না থাকায় সড়কের ওপর অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী ও স্বজনদের গাড়ি রেখে দেওয়ায় যানজট লেগেই থাকছে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকসহ ১০ শয্যা থাকার কথা। দু-একটি হাসপাতাল ব্যতিত অন্যগুলোতে নিজস্ব চিকিৎসক নেই। সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল হক বলেন, ‘আমার যোগদানের আগে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে।’ লাইলেন্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নানা অনিয়ম রোধে কাজ হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন। জানা যায়, গত বছরের ১ নভেম্বর জামালপুর শহরের এম এ রশিদ হাসপাতালে সিজার করাতে আসেন সদর উপজেলার শীতলকুর্সা গ্রামের নুরল মল্লিকের স্ত্রী হাসি। সন্তান জন্মের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার। সিজারের সময় নাড়ি কেটে ফেলায় হাসির মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ স্বজনদের। অভিযোগ আছে, একই বছরের ১৩ নভেম্বর শহরের নকিব উদ্দিন হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে আসেন পৌর এলাকার মারুফ হোসেনের স্ত্রী মোছা রুম্পা। চিকিৎসক না থাকায় স্বজনদের না জানিয়ে ওয়ার্ডবয় আর এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী রুম্পার সন্তান প্রসব করান। প্রসূতির পেটে প্রচ চাপ প্রয়োগ করায় শিশুর মাথার খুলি ভেঙে দেবে যায়। জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় শিশুটি। চলতি বছরের ৪ মার্চ নান্দিনা এলাকায় তালুকদার ডায়াগনিস্টক অ্যান্ড হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় মারা যান এক প্রসূতি। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে উল্টো মৃতের স্বজনদের ওপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হামলা করে অভিযোগ রয়েছে। ২৬ মে দিগপাইত এলাকায় দুবাই হসপিটাল বিডিতে সিজার করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় মারা যান প্রসূতি শারমিন আক্তার। পরে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
শিরোনাম
- হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
- জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি; বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা
- করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৯
- ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
- ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
- শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
- বাংলাদেশে ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে রুল
- সাবেক ভূমিমন্ত্রীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজে মুগ্ধ সেনাপ্রধান
- মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
- ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করল ইসি
- '১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
- হলিউড সিনেমার শুটিংয়ে দুর্ঘটনার মুখে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
- আমিরের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় সালমান
- একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আলী রীয়াজ
- আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পাল্টাতে হবে : সালাহউদ্দিন
নিয়মের বালাই নেই ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকে
► বেশির ভাগে নেই নিজস্ব চিকিৎসক ► অভিযোগ আছে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর
শুভ্র মেহেদী, জামালপুর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর