রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে মারধরের শিকার আরাফাত রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল (রামেক) হাসপাতালে দেখতে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মজিবুল আজাদ খান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মশিহুর রহমান।
সোমবার দুপুরে তারা আরাফাতকে দেখতে রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডে যান।
এর আগে সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ছবি তুলতে গেলে মারধর শিকার হন ডেইলি স্টারের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরাফাত রাহমান। আহত অবস্থায় আরাফাতকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরাফাতকে দেখতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুজিবুল হক আজাদ জানান, কারা এঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলেই তদন্ত করে জড়িতদের আটক করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীগামী দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে ক্যাম্পাসে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়। কুমিল্লায় ভাড়া নিয়ে বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়েল মেইন গেটে জড়ো হন ছাত্রলীগের ১৫-১৬ জন নেতাকর্মী। বাসটি সেখানে আসলে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্রলীনেতাকর্মীরা। এসময় সাংবাদিক আরাফাত তার ক্যামেরায় ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন ৭-৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবণ ও বিজয় মারধরে নেতৃত্ব দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন