বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরন না করা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল সহ উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কয়েকটি সংগঠন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি, সেক্টর কমান্ডরস্ ফোরাম মক্তিযুদ্ধ ৭১, বিভাগীয় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডে উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবালের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বীর উত্তম, সাংস্কৃতিক সংগঠক কাজল ঘোষ, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির নেতা সৈয়দ আনিছুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রমান মিন্টু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান এবং মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সস্তান কমান্ডের আহ্বায়ক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না।
বক্তারা বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এবং চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সমতা বিধান প্রজ্ঞাপনকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কিত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের অপসারণ দাবি করে বক্তারা।
এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম হয়নি দাবি করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের সন্তানদের নিয়োগ দেয়া হবেনা, এমন শর্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কোথাও নেই। দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকেই নিয়োগ দেয়া হবে।
আন্দোলনকারীদের অপসারণ দাবি প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, অনেকে অনেক কিছু চাইতে পারেন। সরকার চাইলেই তাকে অপসারণ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি পদের বিপরীতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও চলমান আছে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ জুলাই ২০১৭/হিমেল