ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেখানে ঢাকার পক্ষ থেকে আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধের জন্য প্রস্তাব রাখা হবে।
আর এই সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে করবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামীকাল বুধবার জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যাবেন মোমেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। আমরা জি-২০ সদস্য নয়। তারা (ভারত) জানতে চেয়েছে আমাদের কী ভিউস। তারা জি-২০তে ভিউসগুলো তুলে ধরতে চাচ্ছে। আমরা সাজেশন দেব। আমাদের অনেকগুলো সাজেশন আছে। ভারত এগুলো জি-২০তে বলতে পারে ‘
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের এসডিজি অর্জনের জন্য মিউচুয়াল ইমপ্লিমেন্ট খুব দুর্বল। আমরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বলতে পারি। যুদ্ধ হলে মানুষের ক্ষতি হয়, বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর। আমরা অনেকগুলো প্রস্তাব দেব। ভারত কোনগুলো গ্রহণ করবে আমরা জানি না। আমরা চাই, উন্নয়নটা হবে শান্তির এবং স্থিতিশীলতার; উসকানিমূলক পরিবেশ নয়।’
সম্মেলনের ফাঁকে ভারত, ফ্রান্স, সুইডেনসহ কয়েকটি দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘চার থেকে পাঁচটা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হবে, ফ্রান্স ও সুইডেনের সঙ্গে আছে।’
জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারত যাবেন। আর আমরা ভারতের সঙ্গে সব সময় সুযোগ পেলে দ্বিপাক্ষিক অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করি। অনেকগুলো সমাধান হয়ে গেছে, অনেকগুলো সমাধান হচ্ছে। ভারতের ডেমোক্রেসি ভেরি স্ট্রং, সেজন্য আমরা গিয়ে যখনই সুযোগ পাই পুশ করি।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল