জাকারিয়া পিন্টু আর শেখ মুহাম্মদ আসলামদের মতো কিংবদন্তিতুল্য ফুটবলাররা উঠে এসেছিলেন গ্রামবাংলা থেকে। ফুটবল ইতিহাসে এমন আরও অনেক অসাধারণ তারকার দেখা মিলেছে যারা অজানা গ্রামের নাম ছড়িয়েছেন দেশময়। কিন্তু সেই সময় কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এখন আর গ্রাম থেকে পিন্টুদের মতো মহাতারকার উত্থান হয় না। এর কারণ কী? গতকাল গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিন এক মতবিনিময় সভায় এর উত্তরই খুঁজে বেড়ালো বাফুফের জেলা ফুটবল লিগ কমিটি।
জেলাতে বয়সভিত্তিক দল গঠনের ক্ষেত্রে ফুটবল ও ক্রিকেটে দেখা যায় চরম বৈপরীত্য। ক্রিকেট দল গঠন করতে গেলে হাজার হাজার কিশোর লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু ফুটবল দল গঠনের ক্ষেত্রে ২০/৩০ জনের বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। এর কারণ, এখন আর কেউ ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে না। দেখবেই বা কেন! এক পেশাদার ফুটবল লিগ ছাড়া খেলার জায়গা কোথায়! ১১ দলের পেশাদার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য তো একটা প্ল্যাটফর্ম চাই। সেই প্ল্যাটফর্মই দিতে চাইছে বাফুফে। ফিফার পরামর্শে বেশ আগেই ৬৪ জেলায় গঠিত হয়েছে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় যাত্রা হয়েছে জেলা ফুটবল লিগেরও। চলতি বছর ৪১টা জেলা লিগ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোতেও ডিসেম্বরের আগেই ফুটবল লিগ শেষ হওয়ার আশা করছেন জেলা ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান মনজুর কাদের। তিনি বলেন, 'জেলা ফুটবলকে শক্তিশালী করতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নিয়মিত আয়োজন করতে হবে জেলা লিগ। যেসব জেলা এখনো লিগ শেষ করতে পারেনি আশা করি তারা শিগগিরই শেষ করবে।' ফুটবলকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতি জোর দিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও। তিনি বলেন, 'এখন একটা সুযোগ হয়েছে। নিয়মিত পেশাদার লিগ মাঠে গড়াচ্ছে। ফলে ফুটবলারদের আয়ের পথটা সুগম হয়েছে।