ক্রিকেটের আদি ফরম্যাট টেস্ট বলেই মনে করা হয়। সেই আদি ফরম্যাট গত ২১ বছরেও রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে ‘আনকোরা’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছিল।
দেশের ক্রিকেটারদের কণ্ঠেও উইন্ডিজদের দলটিকে নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছিল। সেই দলটির কাছেই টেস্ট সিরিজে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের পর এবার ঢাকা টেস্টে ৪ দিনেই ম্যাচ জিতে নিল উইন্ডিজরা।
দেশের মাটিতে ৯ বছর পর হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ দল। এর আগে ২০১২ সালে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন উইন্ডিজ ঢাকা সফরে দুই টেস্টের সিরিজে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলকে হোয়াইটওয়াশ করে।
চতুর্থ ইনিংসে ২৩১ রানের টার্গেট তাড়ায় ১৭ রানে হেরে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট খেলার মানসিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে উইকেটের চরিত্র স্বভাবতই পাল্টে যায়, ব্যাট করা খুবই কষ্টসাধ্য। উইকেটে থিতু হয়ে রান করতে হলে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয় ব্যাটসম্যানদের। অথচ পরিশ্রম ছাড়াই রানের চাকা সচল করতে গিয়ে আবারও বিপদ ডেকে আনলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। দেশসেরা ওপেনার খ্যাত তামিম ইকবাল রবিবার চতুর্থ ইনিংসে যে স্টাইলে ব্যাটিং করেছেন তা আদৌ টেস্টের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যায় না। তার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যখন টি-টোয়েন্টির স্টাইলে ব্যাটিং করে আউট হন, তখন তরুণরা কী বার্তা পায়!
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত