ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ডক্টর কাজল বন্দোপোধ্যায় এর সঞ্চালনায় একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
গত বুধবার বিকালে প্রফেসর তরফদার মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এর অর্থানুকূল্যে সম্পাদিত " চিকিৎসা বিজ্ঞান কারিকুলামে চিকিৎসা নীতিবিদ্যার প্রকৃতি ও প্রয়োজনীয়তা : বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিচার বিশ্লেষণমূলক অনুসন্ধান" শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এই প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফরিদ আহমেদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিসেস সোচনা শোভা।
উক্ত প্ৰবন্ধটির উপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়ার, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য ডক্টর আ ক ম জামালউদ্দিন, ডাক্তার আদিত্য, অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, ভাষা বিজ্ঞানের অধ্যাপক শাখায়াত আনসারী প্রমুখ।
বক্তারা সময়পোযোগী একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সেমিনার আয়োজনের জন্য উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ধন্যবাদ জানান। বক্তারা সকলেই চিকিৎসা বিজ্ঞান কারিকুলামে নীতিশিক্ষা অন্তভুক্তির পক্ষেই জোরালো বক্তব্য রাখেন। ডক্টর আদিত্য মনে করেন শুধু ডাক্তারদের জন্য নীতিশিক্ষা দিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ণ সম্ভব হবে না। স্বাস্থ্য অধিকার নিচ্চিত করতে এই সেবায় নিয়োজিত সকলকে নৈতিক আচরণ করতে হবে। এখানে অনেকে বিনিয়োগ করছেন। সুতরাং, চিকিৎসকে মূল্যায়নের সঙ্গে বিনিয়োগ এর দিকটিও মনে রাখতে হবে।
এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, "কিভাবে ডাক্তার নৈতিক থাকবেন?" যদি বিনিয়োগকারী মালিক পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে হয়। অধ্যাপক জামালউদ্দিন কারিকুলামে কি কি বিষয় থাকতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন ভারতের তুলনায় আমাদের দেশের চিকিৎসকরা মনোযোগী নন বলে আমাদের দেশের মানুষ ভারত চলে যায়। নীতিশিক্ষার পাশাপাশি রোগীর প্রতি তাদের মনোযোগ জরুরি। পরিশেষে প্রবন্ধকারদের এবং আলোচকদের ধ্যনবাদ জ্ঞাপন করে সভার সমাপ্তি টানেন উচ্চতর মানববিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ডক্টর কাজল বন্দোপোধ্যায়।
বিডি প্রতিদিন / ১১ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর