জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন। তিনি দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর নাম ফেরদৌস হাওলাদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। অভিযোগপত্রে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠ থেকে ফেরার পথে হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে আসা তিনজন শিক্ষার্থী ফেরদৌস হাওলাদারকে গতিরোধ করে। উক্ত তিনজনের মধ্যে শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পর মারতে থাকে। ভুক্তভোগী মনে করছেন তাদের শারীরিক নির্যাতনটি ছিল ছিনতাইয়ের প্রাথমিক মহড়া। যখনই তারা জানতে পারে সে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তখনই তারা স্থান ত্যাগের জন্য তড়িঘড়ি শুরু করে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ফেরদৌস হাওলাদার বলেন, অভিযুক্ত কারো সাথেই পূর্ব পরিচয় কিংবা কোনো ধরনের শত্রুতা নেই। স্কুল ও কলেজ সংলগ্ন মাঠ থেকে ফেরার পথে তারা আমার গতিরোধ করে এবং মারধর করে। পরে আমি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেওয়ার পরও মারধর করে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত শেখ শাহরিয়ার পারভেজ শাওন মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ওই রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে আসছিলাম। ওই সময় তার গায়ে ধুলাবালি লাগলে সে আমাকে গালমন্দ করে। পরে তার সাথে একটু মনোমালিন্য হয়।’ পরে কী ধরনের মনোমালিন্য হয় জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনা এরকম কোনো কিছু ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে তদন্ত এবং প্রমাণসাপেক্ষে কেউ অপরাধে যুক্ত হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কারও অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। সাংগঠনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই