ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির প্রতি হওয়া যৌন হয়রানি এবং শরীরে অগ্নিসংযোগ করে ‘হত্যাচেষ্টা’র প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় এই মানববন্ধন করে তারা।
পরে এতে যোগ দেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল সংসদের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে নুরুল হক নুর বলেন, নুসরাতের সাথে যা ঘটেছে, তা চরম অন্যায়। এই ঘটনা দেখে মনে হয় আমরা আবার অসভ্যতার দিকে চলে যাচ্ছি। একজন অধ্যক্ষ কী করে তার ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করতে পারেন। আমাদের সমাজে যৌন হয়রানির ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই আর কারও চুপ থাকার সুযোগ নেই। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়।
তিনি বলেন, এর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষনের ঘটনায় দোষীদের জামিন প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু পরে তা স্থগিত হয়ে গেছে। এই সবের বিচার হচ্ছে না বলেই বারবার এসব ঘটনা ঘটছে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন বলেন, এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আমরা বিচার চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত । তবুও আমার বোনের উপর ঘটা এই নৃশংসতার বিচার চাইতে আমরা এসেছি। বিচার নিয়েই আমরা যাবো।
মানবববন্ধনে ঘটনায় দোষী সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী নুসরাত জাহান রাফির ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। এতে আইন বিভাগের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ সময় তারা ‘জাস্টিস ফর রাফি’, ‘অপরাধীদের ফাঁসি চাই’, ‘যৌন নিপীড়নের বিচার চাই’, ‘শিক্ষার্থীদের শরীরে আগুন কেন?’ ইত্যাদি লেখা প্লেকার্ড বহন করেন। পরে একটি মৌন মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের দিকে যান শিক্ষার্থীরা। ফেনীর ঘটনার প্রতিবাদে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তারা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর