উয়েফা সুপার কাপে বার্সেলোনা যে কয়বার হেরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক ছিল ২০০৬ সালের পরাজয়। সেভিয়ার কাছে সেবার ৩-০ গোলে হেরেছিল কাতালানরা। অথচ সেই দলে লিওনেল মেসি ছাড়াও ছিলেন রোনালদিনহো, স্যামুয়েল ইতো, ডেকো আর জাভিরা। ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের সময়কার সেই পরাজয়ের দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলার সুযোগ এসেছে বার্সেলোনার সামনে। আজ সেই একই টুর্নামেন্টে সেভিয়ার মুখোমুখি কাতালানরা। উয়েফা সুপার কাপ ট্রফির জন্য জর্জিয়ার তিবলিসিতে লড়াইয়ে নামছে বার্সেলোনা-সেভিয়া। আজ জিতলেই বার্সেলোনা উয়েফা সুপার কাপে সর্বোচ্চ পাঁচবারের জয়ী এসি মিলানকে স্পর্শ করবে।
বার্সেলোনার ত্রিফলা গত মৌসুমে ১২২ গোল করে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। তারপরও লিওনেল মেসি বলছেন, তিনজনের পক্ষে আরও ভালো করা সম্ভব। প্রথম মৌসুম ছিল বলে নাকি তিনজনে তেমন একটা ভালো খেলতে পারেননি। এবারের মৌসুমে হয়তো আরও ভয়ঙ্কর রূপে দেখা যাবে এমএসএনকে! তবে মৌসুমের শুরুতেই একটা ধাক্কা পেল বার্সেলোনা। নেইমারের মামস হয়েছে। এ কারণে মৌসুমের শুরুতেই মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গী হতে পারছেন না এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে নেইমারকে ছাড়াই উয়েফা সুপার কাপ জিততে বদ্ধ পরিকর কাতালানরা। বার্সেলোনার ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার আইভান রাকিটিচ বলছেন, 'ট্রফি দিয়ে মৌসুম শুরু করাটা হবে দারুণ ব্যাপার। আমরা তাই করতে চাই।' বার্সেলোনা গত মৌসুমে ট্রিবল জিতেছে। এবার উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ আর ফিফ ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলেই বছরের ছয়টা শিরোপা তাদের শোকেজে উঠবে। এই কীর্তি কাতালানরা এর আগেও করেছে; পেপ গার্ডিওলার অধীনে ২০০৯ সালে।