আইসিসি'র নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে চলমান টি২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। এ পরিস্থিতিতে আগামী ম্যাচগুলোতে বোলার সংকট বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বেশ ভোগাবে- তা বলাই বাহুল্য। তাই শরীর ফিট না থাকলেও আগামীকাল সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে ইনজুরিতে থাকা মুস্তাফিজকে। রবিবার বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মাশরাফির ভাষ্য অনুযায়ী, মুস্তাফিজ যদি শতকরা ৮০ ভাগ আনফিট থাকে তবুও তাকে খেলতে হবে। কেননা, তাসকিন নিষিদ্ধ হওয়ার পর দলের বোলিং শক্তি ঠিক রাখতে মুস্তাফিজকে খেলানো ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো বিকল্প নেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য আসরে টিকে থাকার লড়াই। কেননা, সুপার টেন পর্বে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে মাশরাফি বাহিনী। ফলে সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে পরের ম্যাচগুলোতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আলোচিত বোলার মুস্তাফিজের মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘিরে। ইনজুরির কারণে প্রায় ৩ সপ্তাহ মাঠের বাইরে এই তরুণ পেসার। তার অনুপস্থিতি বাংলাদেশের বোলিং লাইনে বড় ধরণের শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এসেছে বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিনের ওপর। এ পরিস্থিতিতে টিম ম্যানেজমেন্ট সামনের ম্যাচগুলোতে মুস্তাফিজের বিকল্প দেখছে না। বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচে তাই ফিট না থাকলেও খেলতে হবে বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে।
বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স ও মুস্তাফিজের প্রত্যাবর্তনের সংবাদ ছাপিয়ে আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।
গত ৯ মার্চ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তাসকিন ও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন আম্পায়াররা। ফলে আসর চলার মাঝখানেই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছিল এই দুই বোলারকে। সেই পরীক্ষার ফলের (বোলিংয়ের ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা শেষে) উপর ভিত্তি করে শনিবার তাসকিন ও সানিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইসিসি।
রবিবারের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়েই বেশিরভাগ কথা বলতে হয়েছে মাশরাফিকে। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, দলের দুই স্ট্রাইকিং বোলার এভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে আইসিসি'র এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলো যেহেতু খেলতে হবে, তাই মুস্তাফিজের মাঠে নামার বিষয়টি এখন অপরিহার্য।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ