নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শিশু গৃহকর্মী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলাটি আপোসের মাধ্যমে বিচার এড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য।
রবিবার (২০ মার্চ) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি আলী আসগর স্বপন আদালতে সাক্ষী হাজির করেন। কিন্তু শাহাদাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজীবউল্লাহ হিরু সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন।
স্পেশাল পিপি স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, সময়ের আবেদনে লিখিতভাবে আপোসের কথা না বলা হলেও শুনানিতে শাহাদাতের আইনজীবী মামলাটি আপোসের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। এ সময় শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
শুনানি শেষে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল আগামী ১০ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (২)/ খ ধারায় শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ০৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাজধানীর কালশি থেকে নির্যাতনে মারাত্মক আহত অবস্থায় শিশু হ্যাপিকে উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। তবে ওই দিন বিকেলে শাহাদাত মিরপুর থানায় তার বাসার গৃহকর্মী হারিয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
রাতে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্যকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
আহত গৃহকর্মী হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক আহমেদ। গত ০৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ০৩ অক্টোবর দিনগত গভীর রাত সাড়ে তিনটায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তার বাবার বাড়ি থেকে নিত্যকে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। আদালতের অনুমোদনক্রমে তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ০১ ডিসেম্বর নিত্যকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
অন্যদিকে শাহাদাত গত বছরের ০৫ অক্টোবর সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে আদালতের নির্দেশে ০৮ অক্টোবর থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ০৮ ডিসেম্বর শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ