অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে রাশিয়ার মেদভেদেভকে ২-৬, ৬-৭(৫-৭), ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫ গেমে হারালেন রাফায়েল নাদাল। ফলে রজার ফেডেরার ও নোভাক জোকোভিচকে টপকে প্রথম পুরুষ টেনিস প্লেয়ার হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের একক রাজত্ব গড়লেন তিনি। এই নিয়ে নাদাল দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন।
করোনার টিকা না নেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ওপেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি জোকোভিচ। বিনা টিকায় তার অস্ত্রেলিয়ায় প্রবেশ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয়। ফেডেরার এখন হাঁটুর চোটের কারণে টেনিস থেকে দূরে আছেন।
নাদালের এই প্রত্যাবর্তনও নাটকীয়। ছয় মাস আগেও তিনি ক্রাচ নিয়ে হাঁটছিলেন। টেনিস কোর্টে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পায়ের চোট সারার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এসব বাধা অতিক্রম করে নীরবে প্র্যাকটিস করে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া ওপেনে তাকে দেখে বোঝা গেছে, চোট এখনো ভোগাচ্ছে তাকে।
ফাইনালে প্রথম দুই সেট তিনি হেরে যান। তখন দেখে বোঝা যায়নি, ৩৫ বছর বয়সে এত বাধা অতিক্রম করে, প্রথম দুই সেট হেরে তিনি জিততে পারবেন। বিশেষ করে প্রথম সেট তিনি ৬-২-তে হেরেছিলেন। কিন্তু যত খেলা গড়াল, ততই নাদাল নিজের খেলা ফিরে পেলেন। বাস্তব ঘটনাও অনেক সময় রূপকথাকে হার মানায়। নাদালও সেটাই করেছেন।
ফেডেরারের বার্তা
নাদালের এই ম্যাচ দেখেছেন ফেডেরার এবং ম্যচ শেষ হওয়ার পরেই বার্তা পাঠিয়েছেন বন্ধুকে। ফেডেরার বলেছেন, ‘কী অসাধারণ ম্যাচ দেখলাম। বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার জন্য আমার পরম বন্ধু এবং সেই সঙ্গে পরম শত্রু রাফায়েল নাদালকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মাস কয়েক আগে আমরা একে অন্যকে মজা করে বলেছিলাম, কীভাবে আমাদের জীবন ক্রাচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। সেখান থেকে তুমি অসাধারণ ভাবে ফিরে এলে।’
এক অভিবাসী ও দুই বল কিড
ম্যাচ চলার সময় দুই বল কিডের সঙ্গে একবার তর্কে জড়িয়ে পড়েন মেদভেদেভ। আর দ্বিতীয় সেট চলার সময় এক অভিবাসী একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে কোর্টে ঢুকে পড়েন। সেখানে লেখা ছিল, অভিবাসীদের ধরপাকড় বন্ধ হোক। প্রশ্ন উঠেছে, এই দুই ঘটনার জেরে কি মেদভেদেভের মনসংযোগে চিড় ধরে?
সূত্র : ডয়চে ভেলে, এপি, এএফপি, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ