প্রতিবেশী মাঞ্চুরিয়া আর মঙ্গোলিয়ার যাযাবর দস্যুদের হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয় চীনের গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রাচীর। চীনের এই মহাপ্রাচীর রক্ষায় এবার ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন ও গাধা।
মহাপ্রাচীরের সুরক্ষায় সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব। এ জায়গাগুলো বলতে গেলে মানুষের আয়ত্তের বাইরে। সেখানে তাই আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংস্কার ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য ড্রোন ও গাধাকে কাজে লাগাচ্ছে চীন।
আর একাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি ড্রোন। এটা মহাপ্রাচীরের দেয়াল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং মানুষের কাছে সেসব তথ্য সরবরাহ করে। ফলে ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিমাপ করা ও সংস্কার করা সম্ভব। ড্রোন মহাপ্রাচীরের ছবি তোলার মাধ্যমে যথাযথ তথ্য সরবরাহ করছে। এ কারণে সংস্কার কাজ আরও সহজ হয়ে উঠেছে। সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মহাপ্রাচীরের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে গাধা।
২৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীন বিভক্ত ছিল খণ্ড খণ্ড রাজ্য আর প্রদেশে। এ রাজ্যগুলোর একটির রাজা শি হুয়াং-টি (Shih Huang-ti)। প্রভাবশালী এই রাজা আশপাশের রাজাদের সংঘবদ্ধ করে নিজে সম্রাট হন।
চীনের উত্তরে গোবী (Gobi) মরুভূমির পূর্বাংশে দূর্ধর্ষ মঙ্গলদের বাস ছিল। লুটতরাজই ছিল তাদের জীবিকার প্রধান উৎস। এদের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য সম্রাটের নির্দেশে চীনের প্রাচীর নির্মাণের কাজ আরম্ভ হয়। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই প্রাচীরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৬৯৫ কিলোমিটার আর চওড়ায় প্রায় ৩২ ফুট। ভূমি থেকে উচ্চতা স্থান ভেদে ১৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন