১০ জানুয়ারি ভারতের শিলংয়ে ১২তম এসএ গেমসের পর্দা ওঠার কথা। ২০১২ সালেই এ গেমস শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ভারত তা করতে পারেনি। ২৩টি ডিসিপ্লিনে গেমস অনুষ্ঠিত হবে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কোন কোন ডিসিপ্লিন থাকবে তা এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি। সময় কম তাই বসে থাকতে পারেনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। বেশ জোরোশোরে ১৫টি ইভেন্টের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিওএ'র উপমহাসচিব ও ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান মিকু জানালেন, ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে বাংলাদেশ ১৮টি সোনা জয় করেছিল। শিলং গেমসেও আমরা ভালো করতে চাই। তাই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। তিনি বলেন, যেসব ইভেন্টে সোনা জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইনচেন এশিয়ান গেমসে শেষ মুহূর্তে অ্যাথলেটও সুইমারদের পাঠানো হয়নি। মিকু বলেন, এসএ গেমসে দু'টি ইভেন্টই থাকছে।
প্রশিক্ষণ ও অংশগ্রহণের জন্য বিওএ ২৭টি কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের কাছে। মিকু জানালেন এখন পর্যন্ত ১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এতে কি প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটছে না? মিকু বলেন, ক্রীড়াবিদরা আন্তরিকতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ করছেন। কোনো রকমের সমস্যায় যেন পড়তে না হয় সেদিকে আমি নজর রেখেছি। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে কাউকে পাঠানো হবে কিনা? এ ব্যাপারে মিকু বলেন, এক্ষেত্রে ফেডারেশন বুঝতে পারবে বিদেশে ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন কিনা। এরপর তারা বিওএকে চিঠি দেবে। এখন পর্যন্ত কোনো ফেডারেশনই আমাদের তা জানায়নি।