জাভেদ ওমর গুল্লু বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনার। ক্যারিয়ারে ধীরলয়ে ক্রিকেট খেলার অভিযোগ ছিল তার বিপক্ষে। কিন্তু ওয়ানডে স্ট্রাইক ও গড় বাংলাদেশের অন্য যে কোনো স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের চেয়ে ভালো। ৫৯টি ওয়ানডে খেলা গুল্লু বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র একটি। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে সুপার এইট খেলা টাইগারদের সদস্য হয়ে তিন ম্যাচে রান করেছিলেন ৫৫। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৩১২ রান করা ৩৮ বছর বয়স্ক গুল্লু খেলা ছেড়েছেন অনেক আগে। সাবেক এই ওপেনার বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠকদের জন্য বিশ্বকাপগামী টাইগারদের ওপেনারদের শক্তিশালী ও দুর্বল দিকগুলোর টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ করেছেন। আজ দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে বলেছেন।
২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপে সুপার এইট খেলেছিল বাংলাদেশ। জুনিয়র টাইগারদের সেরা আটে তুলতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। দুই দুটি সেঞ্চুরিসহ ৩৬৫ রান করেছিলেন এই ডান হাতি ওপেনার। যার একটি ছিল পাকিস্তান যুবাদের বিপক্ষে। ওই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। তখনই এনামুলকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে উল্লেখ করেছিল আইসিসি। যুব বিশ্বকাপ খেলেই টাইগারদের সিনিয়র দলে সুযোগ পান। সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগবে বলে মনে করেন সাবেক ওপেনার গুল্লু। এনামুল ২৭ ওয়ানডেতে রান করেছেন ৮৯২। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। যার একটিতে টাইগাররা জিতলেও হেরেছে দুটি। এবারের ক্রিকেট মহাযজ্ঞে বাংলাদেশের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে তার ওপর। অভিজ্ঞ তামিমের সঙ্গে এবার তিনি উদ্বোধন করবেন।
শক্তিশালী দিক : আত্মবিশ্বাসের লেবেল খুব ভালো। রানে থাকলে যে কোনো বোলিংয়ের বিপক্ষে রান করার সামর্থ্য রয়েছে এনামুলের। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ান উইকেটে যে ধরনের স্ট্রোক খেলতে হয়, সেটা খুব ভালো পারেন এনামুল। আমার মনে হয় স্পিনের চেয়ে পেসে অপেক্ষাকৃত সাবলীল তিনি।
দুর্বলতা : আগে থেকেই শটস খেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন। এটা খুবই বাজে দিক। এছাড়া একটু অস্থিরও। টেকনিকে কিছু সমস্যা রয়েছে। বয়সে তরুণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে।
সাফল্য পেতে : আমার চোখে বাংলাদেশের রান মেশিন। অস্থির হলেও আত্মবিশ্বাসী। শটসগুলোতে আত্মবিশ্বাস থাকে। যেহেতু স্ট্রোক খেলেন এনামুল, তাই টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত, তাকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেওয়া। আমার বিশ্বাস এনামুল চাপমুক্ত খেললে বাংলাদেশের লাভ হবে। রান পেতে শুরুতে একটু দেখেশুনে খেলতে হবে এনামুলকে। কেননা ওখানকার উইকেটে সুইং বেশি, বাউন্স বেশি। তাই তার একটু দেখে শুনে খেলা উচিত।